সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রকাশ করেছিলেন যে, কোনো মন্ত্রিসভার অনুদানের পরিমাণ পূর্বে কোনো ব্যক্তি জানেন না। আমি এমপি হওয়ার পর থেকে, সারা দেশে, আমার এলাকাও অন্যত্র মানুষ জানতে পেরেছে কত টাকা বরাদ্দ পেলাম। এরপর তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে তার বরাদ্দের পরিমাণ প্রকাশ করেছিলেন। ব্যারিস্টার সুমন এই বারও ব্যতিক্রম করলেন না।
বুধবার, ব্যারিস্টার সুমন এর পরিচিত ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে আর্থিক বরাদ্দের তালিকার একটি ছবি পোস্ট করেছেন। এবং ক্যাপশনে লিখেছেন, 'সুখবর, অন্যান্য এলাকার মতো, আমরা ও নতুন করে ৫০,০০,০০০/- পঞ্চাশ লাখ টাকা বরাদ্দ পেলাম।'
বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আর্থিক বরাদ্দের নির্দেশিকায় উল্লিখিত হয়েছে, বর্তমান অর্থবছর ২০২৩-২০২৪ এ গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা-কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত এলাকার ভিত্তিতে নগদ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
নির্দেশিকায় আরো উল্লিখিত হয়েছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় মন্ত্রণালয়ের ১৬-০৫-২০২৪ খ্রিস্টাব্দের ৫১.০০,০০,০০০০,৪২২.১৪.০০১.২২.৪৪ নং স্মারকে বরাদ্দিত ২৬৩টি সংসদীয় নির্বাচনী এলাকার অনুকূলে ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা হারে সর্বমোট ১৩১,৫০,০০,০০০/- (একশত একত্রিশ কোটি পঞ্চাশ লাখ) টাকা নিম্নবর্ণিত বিভাজন ও শর্তসাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকগণের বরাবরে বরাদ্দ করা হয়েছে।
এর আগে, সংসদ সদস্যরা বেতন ও সরকারি বরাদ্দ কত পান তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করায় জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে নালিশ দেন বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু।
পরদিনই তার কঠোর সমালোচনা করে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, চুন্নু স্বৈরাচারের দোসর। তার মুখে সমালোচনা মানায় না। তিনি বলেন, এমপিরা কত বরাদ্দ পান তা জনগণের জানার অধিকার আছে। আমি সেটা প্রকাশ করেছি। এতে চুন্নু সাহেবের সমস্যা কোথায়?
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হবিগঞ্জ-৪ আসনে প্রায় এক লাখ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বিজয়ী হন। মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সুমন দেশে বিদেশে ফেসবুকের অতি পরিচিত মুখ।